1. dainikbijoyerbani@gmail.com : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. hasan@dainikbijoyerbani.com : Hasan :
  3. zakirhosan68@gmail.com : dev : dev
টেক্সাসে বাংলাদেশী পরিবারের ৬জন সদস্যের লাশ উদ্ধার - dainikbijoyerbani.com
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন
ad

টেক্সাসে বাংলাদেশী পরিবারের ৬জন সদস্যের লাশ উদ্ধার

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১
  • ৫৮৯ Time View

টেক্সাসে বাংলাদেশী পরিবারের ৬জন সদস্যের লাশ উদ্ধার

হাকিকুল ইসলাম খোকন ,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধি :গত ৪ এপ্রিল,
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অ্যালেন শহরে বসবাসরত বাংলাদেশি একটি পরিবারের ছয় সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মা, বাবা, বোন ও নানিকে হত্যার পর ওই পরিবারের দুই সন্তান আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

দুই ভাই ‘সুইসাইড নোট’ রেখে গেছেন। এই নোট থেকে মনে করা হচ্ছে, তাঁরা হতাশায় ভুগছিলেন। পরিবারকে লজ্জা ও কষ্ট থকে মুক্তি দেওয়ার জন্য দুই ভাই সবাইকে হত্যা করে নিজেরা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখ রয়েছে। পুলিশ এ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে।
স্থানীয় সময় গত রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে নগরীর পাইন ব্লাফ ড্রাইভ এলাকার বাড়িটির দরজায় কড়া নাড়ে পুলিশ। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে পুলিশ কোনো ফোন কল পায়নি বলে জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, ওই পরিবারের এক বন্ধু তাঁদের ফোন করে পাচ্ছিলেন না। এরপর তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ওই ঘরে ছয়জনের লাশ দেখতে পায়। বন্দুকের গুলিতে ছয়জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাড়িটি থেকে বন্দুকও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন ১৯ বছর বয়সী যমজ ভাই-বোন ফারহান তৌহিদ ও ফারবিন তৌহিদ, বড় ভাই তানভীর তৌহিদ (২১), মা আইরিন ইসলাম (৫৬), বাবা তৌহিদুল ইসলাম (৫৪), তানভীর তৌহিদের নানি আলতাফুন্নেসা (৭৭)।

অ্যালেন পুলিশ জানিয়েছে, দুই ভাই চারজনকে হত্যার পর নিজেরা আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হচ্ছে। মানসিক বিষণ্নতা থেকে মুক্তি পেতে তাঁরা এই কাজ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পাওয়া গেছে।

পুলিশ বলছে, ঘটনার আগে ফারহান তৌহিদ ইনস্টাগ্রামে একটি দীর্ঘ ‘সুইসাইড নোট’ পোস্ট করেছেন। এতে তিনি লিখেছেন, ‘আমি নিজেকে ও আমার পরিবারকে হত্যা করেছি।’

ফারহান আরও লিখেছেন কীভাবে তিনি নবম শ্রেণি থেকে মানসিক হতাশার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তাঁর বড় ভাইও হতাশার সঙ্গে লড়াই করেছেন।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ফারহান লেখেন, তাঁর ভাই বলেছেন, ‘আমরা যদি এক বছরে সবকিছু ঠিক করতে না পারি, তবে আমরা নিজেদের ও পরিবারকে হত্যা করব।’

নিজেরা আত্মহত্যা করলে পরিবার লজ্জায় পড়বে। তাই লজ্জা ও কষ্ট থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য অন্যদের হত্যা করে নিজেদের আত্মহত্যার কথা সুইসাইড নোটে উল্লেখ রয়েছে বলে পুলিশের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে। সুইসাইড নোটে হত্যার পরিকল্পনার কথাও লেখা আছে।

মরদেহ উদ্ধারকারী অ্যালেন পুলিশের সার্জেন্ট জন ফেলটিকে বলেছেন, তিনি ২১ বছর ধরে শহরটিতে আছেন। এমন দুঃখজনক ঘটনার মুখোমুখি তিনি আগে কখনো হননি। পুরো ঘটনাকে মর্মান্তিক বলে উল্লেখ করেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গত ৩ এপ্রিল শনিবার কোনো এক সময় মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি। মেডিকেল পরীক্ষার পর এ বিষয়ে জানা যাবে বলে নগরীর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

ওই পরিবারের পরিচিত দিলারা হাসান বলেছেন, এমন কোনো ঘটনা এই পরিবারে ঘটতে পারে বলে তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না। বাইরে থেকে পরিবারটিকে সুখী বলেই তাঁর মনে হয়েছে।

টেক্সাসে বসবাসরত অপর প্রবাসী মিজান রহমান বলেছেন, সব সময় হাসিখুশি থাকা পরিবারটিতে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনিও বিশ্বাস করতে পারছেন না। বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য ঘটনাটি মর্মান্তিক বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মর্মান্তিক ঘটনার শিকার বাংলাদেশি পরিবারটির কোনো নিকটাত্মীয় আশপাশে নেই। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ টেক্সাস লাশ দাফনের ব্যবস্থা করছে। অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট হাশমত মোবীন বাপসনিঊজকে জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্থানীয় কবরস্থানে দাফনের জন্য তাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্থানীয় সময় আগামীকাল বুধবার ছয়জনের জানাজার পর দাফন হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি